ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন জায়গা হলো ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)। টিএসসির নকশাকার ছিলেন বিশ্বখ্যাত গ্রিক স্থপতি কন্সটান্টিনস এ. ডক্সিয়াডিস। ১৯৬১ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিমে ঢাকার গ্রীক সম্প্রদায়ের প্রাচীন সমাধিস্থলের উপর। গ্রীক সমাধিস্থলের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন সমাধিসৌধটি সংরক্ষণ করে পুরো কমপ্লেক্সটির তিনি ডিজাইন করেন।
গ্রাম বাংলার চিরাচরিত দৃশ্য বসত বাড়ির সামনের উঠোন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি টিএসসির এ নকশা করেছিলেন। বাংলাদেশে শুধু টিএসসিই নয়, গ্রিক এই স্থপতি আরো বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার নকশা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হোম ইকোনোমিকস কলেজ এবং কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি তথা বার্ড।
১৯৬৪ সালে টিএসসির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিলো ৩হাজার ৮০০ জন এবং শিক্ষকের সংখ্যা ছিলো ২০০জন। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০হাজারেরও অধিক। বর্তমান চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টিএসসির পুরাতন স্থাপনা অক্ষুণ্ণ রেখে টিএসসিকে বর্ধিত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যেই নতুন নকশাও প্রণয়ন করা হয়েছে।
টিএসসির ভিতরের অন্যতম নান্দনিক স্থাপনা হলো গ্রীক সমাধি। এটি টিএসসির মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত। টিএসসির আরেকটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা হলো ‘শান্তির পায়রা’ ভাস্কর্য। এটি টিএসসির সামনে অবস্থিত।
টিএসসিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিউইডিএস), ঢাকা ইউনিভার্সিটি আইটি সোসাইটি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফিল্ম সোসাইটি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম এ্যাকশন সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।
Share করে সবাইকে জানিয়ে দিন
Page Link – bdengineer.com
PageLink- Engineers Job in Bangladesh