ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসি পাসের (পাস কোর্স) মর্যাদা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সমাজের গ্র্যাজুয়েট ও নন-গ্র্যাজুয়েট মানসিকতা থেকে থেকে বেরিয়ে দক্ষতামূলক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া কথা জানান তিনি। আজ শনিবার (২ মার্চ) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মিলনায়তনে আইডিবি’র জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি সম্মেলন ও বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমাদের যে নতুন কারিকুলাম এসেছে, অনেক শিক্ষার্থী পাবো যারা ডিপ্লোমা শিক্ষায় উৎসাহী হবেন। আমাদের শিক্ষাবিদ, মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সবাই মিলে একটা চিন্তা করা যায় যে, একজন ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থীর বিএসসি পাস করতে সময় লাগে তিন বছর, ২১ বছর বয়সে প্রায় শেষ হয়। ডিপ্লোমা পাসের ক্ষেত্রেও প্রায় তাই। আর এক বছরের কর্ম-অভিজ্ঞতা থাকলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর ২১ প্লাস বয়স হয়। আমাদের ভাবা দরকার সামাজিক সাংস্কৃতিক যে ট্রেন্ডগুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে। যারা ডিপ্লোমা পাস করে এক বছর কর্মরত থাকবে তাদের বিএসসি পাস হিসেবে কীভাবে আমরা মর্যাদা দিতে পারি। ’
তিনি বলেন, ‘সরকারি বা বেসরকারি জায়গায় হোক, সেটা প্রস্তাবটা আপনাদের কাছ থেকে আসলে ভালো হয়। সুনির্দিষ্ট কোনও দক্ষতাবিহীন বিষয়ে আমি পড়ে পাস করে গ্র্যাজুয়েট বলছি নিজেকে। সেখানে দক্ষতা নিয়ে পাস করলাম, কর্মসংস্থানও হলো আমার কিন্তু সামাজিক মর্যাদায় গ্র্যাজুয়েট নই, সেটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যেতে পারে না। ’
সমাজের গ্র্যাজুয়েট ও নন-গ্র্যাজুয়েট মানসিকতা ঝেড়ে ফেলতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু এই প্রজন্মের মাধ্যমে পাচ্ছি না, তাহলে সমমর্যাদা দিতে হবে। সমমর্যাদা দিলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করি।
এই বিষয়ে আমি বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ককে যাতে চেঞ্জ আনা যায়। তখন প্রাইভেট পলিটেকনিকেও অনেক শিক্ষার্থীরা আসবে। তখন এই মানসিকতা থাকবে না যে— আমি বিলো গ্র্যাজুয়েট। ’
From- IDEB News