

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেছেন, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অনন্য উপহার। এ প্রতিষ্ঠান থেকে তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন। তাঁরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার আয় করবেন। নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের তরুণেরা এখন চাকরি খুঁজবেন না, তাঁরা চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবেন।
আজ রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পঞ্চরাস্তা মোড় এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। উপজেলা সদরে দুর্গা নারায়ণ (ডিএন) পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


জুনাইদ আহমেদ বলেন, তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণেরা চাকরি করবেন না, তাঁরা চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবেন। দেশের তরুণদের উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল করতে ব্রেন চাইল্ড শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অব ফিউচার, ডিজিটাল এডুটেইনমেন্ট সেন্টারসহ দেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে দেশের মেধাবী তরুণেরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের রোবোটিকস প্রযুক্তি, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করবেন। সরকার সেই সুযোগ তৈরি করতে নিরলস কাজ করছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তি খাতে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এ সময়ের মধ্যেই এ খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, পুলিশ স্টেশন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে অপটিক্যাল ফাইবারের আওতায় আনা হচ্ছে। সারা দেশে ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অপটিক্যাল ফাইবারের আওতায় আনা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।
ঘিওর উপজেলার পঞ্চরাস্তা মোড় এলাকায় ২ একর জমির ওপর ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এসএসসি ও এইচএসসি পাস করা তরুণ-তরুণীরা এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
From – Prothom Alo
Share করে সবাইকে জানিয়ে দিন
Page Link – bdengineer.com
PageLink- Engineers Job in Bangladesh