অস্ত্র মামলার আসামির সাথে নাম ও এলাকার মিল থাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে খুঁজকে পুলিশ। এই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী। আদালত প্রকৃত আসামিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মো. রাকিবুজ্জামান খানকে হয়রানি না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো.বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে একটি রিভলবার ও ৫ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ তিন আসামিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই বছরের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলার এক নম্বর আসামি করা হয় এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিব নামের নরসিংদীর এক ব্যক্তিকে। অপর দুই আসামি হলো মো. সালাউদ্দিন ও কামরুল রহমান ওরফে মনির।
এজাহারভুক্ত আসামি এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিবের নামের সঙ্গে চার্জশিটে মিঠু শব্দ যুক্ত করা হয়। তার বাবার নাম ডা. মো. কামরুজ্জামান খান ওরফে হিরু। বিচার শুরুর পর ২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান আসামি রাকিব ওরফে মিঠু। জামিন নিয়ে পালিয়ে যায় মিঠু।
২০১৪ সালের ১৩ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১ এবং মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলায় রাকিবসহ তিন আসামিকে অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় ‘ডাবল’ যাবজ্জীবনসহ সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে সব আসামি পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত।
এখন এ মামলায় প্রকৃত আসামি রাকিবের পরিবর্তে প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে খুঁজছে পুলিশ। এমন অভিযোগ এনে প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খান চিঠি দিয়েছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। চেয়েছিলেন তদন্ত। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়ায় রিট করেন হাইকোর্টে।
প্রকৌশলী রাকিবুজ্জামানের দাবি, তার বাবার নাম মো. কামরুজ্জামান খান। তার বাবার নামের সঙ্গে আসামি ও আসামির বাবার নাম হুবহু এক নয়। আসামির গ্রামের ঠিকানায় সৈয়দ বাড়ি উল্লেখ আছে। আর তার বাড়ি হচ্ছে খানবাড়ি। দুজনের গ্রামের নাম এক হলেও বাড়ি ও বংশ ভিন্ন।
সূত্র: News
Share করে সবাইকে জানিয়ে দিন।
Join Our Community bdengineer.com
Join Our Community Engineers Job in Bangladesh