গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি বলেছেন, “৭৫ পরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশকে পাকিস্তানের আরেকটা ভার্সন বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এখনও সেই অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ছাত্রসমাজকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে যেতে হবে। আমরা আগস্ট মাসের শোককে শক্তিতে পরিণত করার কথা বলছি। সে লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে৷ তাঁর রাজনৈতিক আদর্শকে তুলে ধরতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে পরাস্ত করে একশ্রেণির লোকেরা এদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে চায়। চুয়েট ছাত্রলীগ অ্যালামনাই ও দেশে-বিদেশে যারা বিভিন্ন অবস্থানে আছেন, আমাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের দাবি জোরদার করতে হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নানাভাবে কর্মমুখী কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার কোলাবোরেশন বাড়াতে হবে। পড়াশোনাকালীন নানা সফট স্কিলস আয়ত্ত্ব করতে হবে। একজন প্রকৌশলী তৈরিতে শুধু অর্থ নয়, রাষ্ট্রের অনেক ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে। আমাদের প্রকৌশলীদের সেভাবে রাষ্ট্রের কাজে লাগাতে হবে। আমাদের উন্নয়ন কাজে বিদেশিদের নির্ভরতা কমাতে হবে। রাষ্ট্র যে উদ্দেশ্যে প্রকৌশল শিক্ষায় বরাদ্দ দিচ্ছে, সেই উদ্দেশ্য সফল করতে হবে। রাষ্ট্রের এই বিনিয়োগকে অর্থবহ করতে হবে।”
গতকাল শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে “শোক যখন শক্তি” প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর এবং চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “আগস্ট মাস আমাদের শোকের। এই আগস্টে জাতির ইতিহাসে দুটি কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটে। ৭৫ পরবর্তী সেই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এখনও বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখতে তৎপর। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাব অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পড়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাধীনতা বিরোধীরা নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে এসব অপশক্তিকে মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা চুয়েটের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হতে দিবো না। যে কোনো মূল্যে একাডেমিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতা কামনা করছি।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও যন্ত্রকৌশল অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান।
এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মেজর (অবঃ) মো. ফিরোজ খাননুন ফারাজী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে চুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
Share করে সবাইকে জানিয়ে দিন।
PageLink- Engineers Job in Bangladesh
.
Page Link- Diploma Engineers of Bangladesh