আমেরিকায় মাস্টার্স বা পিএইচডিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন পাই, তার মধ্যে বড় একটি প্রশ্ন হল জিপিএ। অনেকেই আমাকে বা নানা অনলাইন ফোরামে প্রশ্ন করেন, তাদের জিপিএ কম, তাহলে কি ভর্তির বা ফান্ডিং-এর সুযোগ আছে? অনেকেই এর জবাবে বলেন, জিপিএ ব্যাপার না, ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানে আসলে একটা বড় ভুল হচ্ছে- আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের জিপিএ অবশ্যই ব্যাপার এবং বড় একটা ফ্যাক্টর ভর্তির ক্ষেত্রে। দুইজন অ্যাপ্লিক্যান্টের একজনের জিপিএ যদি ৩.৬ হয় আর অন্যজনের ২.৬, তাহলে অবশ্যই ৩.৬ জিপিএধারী শিক্ষার্থীর অ্যাপ্লিকেশন প্রাধান্য পাবে।
কাজেই আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলের শিক্ষার্থীদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ রিসার্চ, টোফেল, জিআরই-এর সবই ঠিক আছে, কিন্তু জিপিএটা বেশি রাখার চেষ্টা কর। অন্যগুলো পাস করার পরেও চেষ্টা করে বাড়ানো যাবে, কিন্তু আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের জিপিএ তো পাল্টাবে না।
তবে, এখানে যাদের জিপিএ কম, তাদের একেবারেই আশা নাই, এটাও অবশ্য ঠিক না। খুবই অল্প ক্ষেত্রে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলে কম জিপিএ থাকলেও খুবই ভাল রিসার্চ দিয়ে সেই ঘাটতি মিটানো যায়। তবে সেটা খুবই বিরল ক্ষেত্রে।
আর আরেকটা উপায় হল দেশেই আরেকটা মাস্টার্স করে নিয়ে সেখানে খুব ভাল জিপিএ তোলা। যাতে করে অ্যাপ্লিকেশনের সময়ে মাস্টার্সের জিপিএ দিয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট জিপিএর ঘাটতি ঢাকা যায়।
কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবারও বলব, অন্যান্য অ্যাকটিভিটি যাই করো না কেন, জিপিএটা যাতে ঠিক থাকে। তা না হলে পরে উচ্চশিক্ষার পথ পুরো বন্ধ হবে না, তবে একটু কষ্টকর হয়ে যাবে।
লেখক: রাগিব হাসান,
শিক্ষক, আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়, বার্মিংহাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
Let everyone know by sharing.
Page Link – bdengineer.com
Page Link- Engineers Job in Bangladesh