April 9, 2025
Chicago 12, Melborne City, USA
CUET Student Activity University

নিরাপত্তা শংকায় পরীক্ষা বর্জন চুয়েট শিক্ষার্থীদের

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(চুয়েট) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা এবং যন্ত্রতড়িৎ ও শিল্পকৌশল বিভাগের দুইশত এর বেশী শিক্ষার্থী তাদের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। রোববার ৩য় বর্ষের যন্ত্রতড়িৎ ও শিল্পকৌশল(এমআইই) বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের এর পরদিন গত কাল সোমবার পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করা পরীক্ষার্থীর সিংহ ভাগ শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী । গত ১৭ মার্চ দুপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ফুল দেওয়া কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে কমপক্ষে তিনবার সংঘর্ষ হয়। একই দিন গভীর রাতে শহীদ মোহাম্মদ শাহ হল ও তারেক হুদা হলের শাফক্বাত রুম্মান, জাহিন দাইয়ান, ফাহিম আরিফ সহ প্রায় ত্রিশজন ছাত্রলীগ কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শেখ রাসেল হলে অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে শেখ রাসেল হলের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব উদ্দীন চৌধুরী গুরুতর ভাবে আহত হন। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এই তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, গভীর রাতে হলে প্রবেশ করে তাদের একজন সহপাঠীকে আহত করায়, তারা নিরাপত্তা শংকায় ছিলেন। যেকারণে তারা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারে নি। এছাড়া তারা এই ঘটনায় জড়িত সকলের শাস্তির দাবি ও করেছেন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমি চুয়েটে থাকাকালীন সময়ে এমন ঘটনা দেখিনি। যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তারা যেকোনো সময়ে এর চেয়ে বড় কোন ঘটনা ঘটাতে পারে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ খুব শীঘ্রই দোষীদের শাস্তি দিয়ে নির্বিঘ্নে আমাদের পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এর সুযোগ করে দিবে।

আরেক নারী শিক্ষার্থী জানান, আমাদের নিরাপত্তা সমস্যা না থাকলেও, বন্ধুকে এমন আহত অবস্থায় দেখে পড়াশোনা করার মত মন মানসিকতা ছিল না। এর আগে এসকল শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বর্ননা করে নিজ নিজ বিভাগে পরীক্ষা পেছানোর জন্য আবেদন করেন। আবেদন পত্রে পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনাকে তাদের মানিসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব আখ্যা দেন৷

তবে আবাসিক হলগুলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বলেন, হলে হামলার ঘটনার পর আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সে পর্যন্ত আমি শিক্ষার্থীদেরকে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম এ অংশগ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি।

From- News

Share করে সবাইকে জানিয়ে দিন।

Page Link – bdengineer.com

PageLink- Engineers Job in Bangladesh

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *