টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় বন্ধুর হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা, তরুণের এক বছরের কারাদণ্ড
সোমবার (৪ এপ্রিল) টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ অপরাধে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাবলী শবনম ওই তরুণকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।
বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন।.তিনি জানান, টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র মো. সায়েমের চতুর্থ সেমিস্টারের ড্রয়িং-২ (ক্যাড) বিষয়ের রেফার্ড পরীক্ষার প্রক্সি দিতে আসেন মো. রায়হান কবির। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর প্রক্সি দিতে আসা পরীক্ষার্থীর চেহারার সঙ্গে প্রবেশপত্রে থাকা মূল পরীক্ষার্থীর ছবি মিল না পাওয়ায় ওই কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক খাতাটি নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে বিষয়টি জানান।
এরপর তাৎক্ষণিক প্রক্সি দিতে আসা শিক্ষার্থী রায়হানকে ওই কেন্দ্রের অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বন্ধুর প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ছাত্র বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের অক্সফোর্ড কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে অষ্টম পর্বে অধ্যয়নরত।.প্রক্সি দিতে আসা মো. রায়হান কবির বলেন, আমার বন্ধু মো. সায়েম চতুর্থ সেমিস্টারের ড্রয়িং-২ (ক্যাড) বিষয়ের পরীক্ষায় একাধিকবার অংশ নিয়ে ফেল করায় আমাকে অনুরোধ করে। বন্ধুর অনুরোধে আমি এই পরীক্ষাটি দিতে এসেছি।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ বি এম আমিনুল ইসলাম বলেন, অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সমন্বিত শৃঙ্খলা বিধির ১.১৯ ধারা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে এবং তাকে পরবর্তী তিন শিক্ষাবর্ষের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।