বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুই শিফটের এ পরীক্ষার প্রথম শিফট সকাল ১০টা থেকে সকাল ১১টা এবং দ্বিতীয় শিফট বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
১০০ নম্বরের এমসিকিউ টাইপ প্রশ্নের মাধ্যমে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রতি শিফটে ৮ হাজার ৭১৪ জন করে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেলেও প্রথম শিফটে ৭ হাজার ৭১৩ জন শিক্ষার্থী এবং দ্বিতীয় শিফটে ৭ হাজার ৭৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
উপস্থিতির হার ৮৮.৬ শতাংশ।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের ১ম থেকে ৩০০০তম শিক্ষার্থীকে (মডিউল ‘এ’ এবং মডিউল ‘বি’ সহ) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে।
মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে। তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.buet.ac.bd) প্রকাশ করা হবে। আর আগামী ৯ মার্চ চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত ন্যূনতম ১২জন পরীক্ষার্থী (পর্যাপ্ত আবেদন গ্রহণ সাপেক্ষে) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
মূল ভর্তি পরীক্ষা লিখিত আকারে ২ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মডিউলে ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের জন্য গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন এবং বেলা ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মডিউল-বি ‘খ’ গ্রুপের মুক্তহস্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি।
ভর্তি পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠিভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি ও স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট ১ হাজার ৩০৯ টি।