

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নতুন উপ- উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান।
আগামী চার বছরের জন্য তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল শাখার যুগ্ম-সচিব সৈয়দ আলী রেজা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১এর ৩ নং অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ১২(ক) ধারা অনুসারে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁনকে আগামী চার বছরের জন্য বুয়েটের উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হল।
তার নিয়োগের ক্ষেত্রে চারটি শর্ত দেওয়া হয়। যথা- ক) উপ-উপাচার্যের পদে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর হবে; খ) উপ-উপাচার্যের পদে তাঁর বর্তমান পদের সমান বেতনভাতা পাবেন; গ) তিনি বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং ঘ) রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।


অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান গত ৩০ মে পিএসসিতে তার পাঁচ বছর মেয়াদি সাংবিধানিক দায়িত্ব শেষ করেন। তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এসএসসি, ১৯৮৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় যথাক্রমে নবম ও অষ্টম স্থান অর্জন করেন।
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে নবম স্থান অধিকার করে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে ১৯৯২ সালে প্রভাষক হিসেবে তিনি নিজ বিভাগে যোগদান করেন।
১৯৯৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ’৯৬ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপে স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব স্ট্রাথক্লাইড থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য যুক্তরাজ্যে যান। ডিগ্রি লাভের পর ১৯৯৯ সালে তিনি দেশে ফিরে আবারও বুয়েটে যোগদান করেন।
দেশে ফিরে আসার পর থেকেই তিনি নদী ভাঙন রোধ, সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ এবং পাহাড় ধ্বংসরোধে জুট জিওটেক্সাইলের ব্যবহারের উপযোগিতা নির্ধারণ নিয়ে কাজ করেন এবং বিএসটিআই অনুমোদিত স্পেশিফিকেশেন ওডিজাইন ম্যানুয়েল তৈরি করেন।
তিনি পদ্মাসেতু, হাতিরঝিল প্রকল্প এবং মেট্রোরেল প্রকল্পসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে জিওটেকনিক্যাল পরামর্শক হিসেবে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
পিএসসির সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ও গত পাঁচ বছরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই শিক্ষাবিদ।