bdengineer.com Blog BUET বুয়েটের সাম্প্রতিক র‍্যাঙ্কিং
BUET Engineering Engineers Featured Student Activity University

বুয়েটের সাম্প্রতিক র‍্যাঙ্কিং

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক QS Ranking System এর ২০২২ সালে প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী বুয়েট প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে বিশ্বে ১৮৫তম স্থান অর্জন করেছে। গত বছর বুয়েটের র‍্যাংকিং ছিলো ৩৪৭। অর্থাৎ এবার বুয়েট ১৬২ ধাপ এগিয়েছে। এখন দেখা যাক QS system এর Ranking Indicatorগুলো কি কি এবং বুয়েট সম্প্রতি কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে এই সূচকগুলোতে উন্নতি করার জন্য।

.
রিপোর্টটি লিখেছেন – বুয়েটের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জব্বার স্যার


১) Academic Reputation। এই সূচকের মান ৪০%। এটির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন Academician বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম সম্বন্ধে তাঁদের মতামত দেন। এই Academicianদের নাম QS authority বুয়েটের কাছ থেকেই চেয়ে নেয়। প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ৪০০ academician এর নাম দেয়ার সুযোগ থাকে। বুয়েট এ পর্যন্ত ৩২০ জনের নাম দিয়েছে। এদের মধ্য থেকে বাছাই করে এবং নিজেদের পছন্দের তালিকা থেকেও যুক্ত করে গোপনীয়তা রক্ষা করে বিভিন্ন academician দের কাছ থেকে মতামত নিয়েছেন। তাঁদের প্রদত্ত মতামত অনুযায়ী এবার Academic Reputation এ বুয়েটের স্কোর ছিলো ৭২, গতবারের চেয়ে ৭ পয়েন্ট বেশি।
২) Employers’ Reputation। এটির weightage ৩০%। Academic Reputation এর মত একই পদ্ধতিতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ১৯০ Employer দের দেয়া মতামতের ভিত্তিতে বুয়েটের এবারের স্কোর ছিল ৯০, গতবারের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট বেশি। উল্লেখ্য, Academic Reputation এর মত এক্ষেত্রেও QS এর কাছে বুয়েটের প্রাথমিকভাবে ৪০০ Employer এর নাম দেয়ার সুযোগ ছিলো অর্থাৎ ভবিষ্যতে আরোও ২১০ Employer এর নাম পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।


৩) Citation per Publication। এটির weightage ১০%। বুয়েটের শিক্ষকদের প্রকাশিত জার্নাল কতটা cited হলো সেই তথ্য QS সরাসরি Scopus থেকে সংগ্রহ করে। তাদের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এবার এক্ষেত্রে বুয়েটের স্কোর ছিলো ৭০, গতবারের চেয়ে ৪ পয়েন্ট বেশি।
৪) H- index। এটির weightage ১০%। এই index এর মাধ্যমে দেখা হয় প্রকাশিত জার্নালগুলোর প্রায়োগিক গুরুত্ব আছে কিনা। QS বুয়েটের প্রকাশিত জার্নালগুলোতে এক্ষেত্রে স্কোর দিয়েছেন ৬১, গতবারের চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেশি।


৫) International Research Network (IRN)। এটিরও weightage ১০%। এই indicatorটি ২০২২ সালেই নতুন সংযুক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে দেখা হয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় বা ইন্ডাস্ট্রির সাথে collaborative research করছে কিনা। বুয়েট এক্ষেত্রে স্কোর করেছে ৩৬।
সব মিলিয়ে বুয়েটের স্কোর হয়েছে ৭২.৫, গতবারের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেশি। এর ফলেই বুয়েটের র‍্যাংকিং ১৬২ ধাপ এগিয়েছে। তবে একটি বিষয় সবারই মনে রাখতে হবে এই স্কোর গুলো রিলেটিভ। প্রতিযোগিতামূলক এই পৃথিবীতে কেউই বসে নেই। যখনই আমরা একটুখানি বিশ্রামে যাবো তখনি অন্যরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে যাবে এবং আমাদের র‍্যাংকিং নিচে নেমে আসবে।


প্রশ্ন হচ্ছে, এবার এই প্রতিটি indicator এর স্কোর বাড়ানোর জন্য বুয়েট কী করেছে যার ফলে এতো উচ্চলম্ফন হলো?
১) সাম্প্রতিক যেসব পদক্ষেপের কারণে Academic Reputation বেড়েছে বলে প্রতীয়মান হয় ঃ

  • করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও বুয়েট অনলাইনে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে সমর্থ হয়েছিলো। এর জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মোবাইল, অন্যান্য ডিভাইস এবং মোবাইল ডাটা কেনার জন্য সুদ বিহীন লোন (প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা) দিয়েছিলো। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রেশন ফী মওকুফ/ শিথিলও করা হয়েছিলো। এসকল উদ্যোগ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ফলে করোনার মূল দুই বছর সময়ের মধ্যে বুয়েট তিনটি টার্ম সুসম্পন্ন করতে পেরেছে। সাধারণত বিভিন্ন বাস্তবতার কারণে দুই বছরে সাড়ে তিনটি টার্মের বেশি সম্পন্ন করা যায় না।
  • এই করোনা কালে বুয়েট একাডেমিক কাউন্সিল Faculty of Post Graduate শতুদিএস (FPGS), Faculty of Chemical and Materials Engineering (FCME) এবং Faculty of Science (FS) অনুমোদন দিয়েছে। সিন্ডিকেটের সুপারিশক্রমে এই তিন ফ্যাকাল্টি সৃজনের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

  • করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো এইচএসসি পরীক্ষা বিহীন শিক্ষার্থীদের বুয়েটের প্রথম বর্ষে ভর্তি করানো। বুয়েটের অতীত ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে করোনার বাস্তবতায় এবার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় দুই স্তরে। প্রথম স্তরে চারটি সেশনে ১৮,০০০ পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ টাইপ পরীক্ষা নেয়া হয়। এখান থেকে প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দ্বিতীয় স্তরের লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬,০০০ পরীক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়। করোনার কারণে সশরীরে খাতা পরীক্ষণ এবং নিরীক্ষণ করা সম্ভব ছিলো না। তাই শিক্ষকদের উদ্ভাবিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনস্ক্রিন খাতা মূল্যায়ন ও নিরীক্ষণ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রথম বর্ষের এই ব্যাচ তাদের প্রথম টার্মের ক্লাস শেষ করেছে এবং আগামী ১৬ মে ২০২২ থেকে তাদের প্রথম টার্মের পরীক্ষা শুরু হবে, সশরীরে।
  • পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো উন্নত করার জন্য বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিদেশী শিক্ষকদের বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া এবং সম্মানীর বিষয়গুলো ফিন্যান্স কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
  • গবেষণা কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য, collaborative গবেষণা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনকে incubate করার জন্য Research and Innovation Centre for Science and Engineering (RISE) স্থাপন করা হয়েছে।

  • Centre for Energy Studies (CES) কে Institute of Energy and Sustainable Development (IESD) এ রূপান্তরিত করা হয়েছে।
  • ৪র্থ শিল্প বিপ্লব, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ও ভিশন ২০৪১ কে সামনে রেখে নতুন নতুন কোর্স চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
  • বিদ্যমান গবেষণারগুলোকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার জন্য ২৫৬৭ কোটি টাকার একটি ডিপিপি ইউজিসির মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তিন অর্থ বছরে বাস্তবায়ন যোগ্য এই প্রকল্প অনুমোদন পেলে বদলে যাবে বুয়েটের গবেষণার মানচিত্র। আরো অনেক এগিয়ে যাবে বুয়েট।
  • শিক্ষার্থীদের বিভিন বকেয়া পরিশোধ, ক্লিয়ারেন্স, টেস্টিমোনিয়াল, ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রভিশনাল সনদ পাবার বিষয়গুলোকে অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে সহজ করা হয়েছে। ২০১৫ ব্যাচ এবং তার পরের শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা উপভোগ করছে।

  • বিশ্বের শিক্ষাবিদরা বুয়েট সম্পর্কে উপরিউক্ত ইতিবাচক তথ্য পাচ্ছেন এখন অনেক সুশৃঙ্খলভাবে । কারণ গত কয়েক বছরে বুয়েট তার ওয়েবসাইটকে তথ্যবহুল করেছে। বুয়েটের প্রধান ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগীয় ওয়েবসাইটে এখন শিক্ষক সংখ্যা, শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত, প্রকাশনা, গবেষণার ক্ষেত্র ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
    ২) Employer’s Reputation বেড়েছে মূলত ওয়েবসাইটের visibilityর কারণে। আমাদের এলাম্নিরা দীর্ঘদিন যাবতই সুনামের সাথে দেশে-বিদেশে কর্মরত আছেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে জানার সুযোগ ছিলো কম। বুয়েট নিজে পেশাদারি কাজকর্মের সাথে কতটা জড়িত সেটিরও প্রচার ছিলো না খুব একটা। বর্তমানে বুয়েটের প্রধান ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগীয় ওয়েবসাইটে এখন UG এবং PG ডিগ্রি, একাডেমিক সিলেবাস, শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম, শিল্পের সাথে বুয়েটের সহযোগিতা, গবেষণার ক্ষেত্র, বিভিন্ন পেশাদার প্রকল্পের হাইলাইট ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। এছাড়াও বুয়েট কর্তৃপক্ষ অনেক কর্মদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়িয়েছে অনেক বেশি। এতে Employer গণ বুয়েটের Employer’s Reputation প্রতি আরও ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছেন।
    ৩) Citation per Publication এবং ৪) H-index স্কোর বাড়ার পেছনে নিম্নোক্ত বিষয় এবং পদক্ষেপ বা উদ্যোগগুলো কে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
  • এ দুটো indicatorই শিক্ষকদের জার্নাল পাবলিকেশনের সাথে সম্পর্কিত। উল্লেখ্য, Scopus থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে বুয়েটের পাবলিকেশন সংখ্যা ছিলো ৫১৯। ২০২১ সালে পাবলিকেশন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯৮।

  • অতীতের বিভিন্ন সময়ের গবেষণা বাজেট পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে গবেষণা খাতে বরাদ্দকৃত টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত গেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ফলে গবেষণা খাতের বরাদ্দ ফেরত যাবার কোনো সুযোগ নেই।
  • স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমএসসি এবং পিএইচডি গবেষকদের আকৃষ্ট করার জন্য চালু করা হয়েছে ফেলোশিপ। একজন পিএইচডি ফেলো ৪৫,০০০ টাকা হারে ৩৬ মাসের জন্য এবং একজন মাস্টার্স ফেলো ৩০,০০০ টাকা হারে ১৮ মাসের জন্য বৃত্তি পাবেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও রয়েছে একই ব্যবস্থা। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে কারা এই ফেলোশিপ পাবেন সেজন্য রয়েছে সিন্ডিকেট অনুমোদিত স্বচ্ছ নীতিমালা। সম্প্রতি বুয়েটের নিজস্ব তহবিল থেকে সৃষ্ট BUET Research Fund থেকে ৪০ মাস্টার্স ও ১০ পিএইচডি শিক্ষার্থীকে এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। বুয়েটের বিভিন্ন এলাম্নি ব্যাচ, বিশেষ করে ব্যাচ ৮৫, এতদসংক্রান্তে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার একটি অনুদানও দিয়েছে।

  • শিক্ষকদেরকে জার্নাল প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করার জন্য চালু করা হয়েছে Financial Incentive for Journal Publication. যে সকল সম্মানিত শিক্ষক Q1 ranked journal publish করবেন তাঁরা প্রতিটি জার্নালের জন্য পাবেন দেড় লক্ষ টাকার প্রণোদনা। কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগের ফলে অনেক শিক্ষকই, যারা দীর্ঘদিন যাবত গবেষণা থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন, তাঁরাও এখন আবার গবেষণায় মনোনিবেশ করেছেন।
  • এছাড়াও সম্মানিত শিক্ষকদের অধীনে গবেষণা রত শিক্ষার্থীদের দেশের ভেতরে বা বাইরে বিভিন্ন কনফারেন্সে যোগদানের জন্য অথবা গবেষণা সংক্রান্ত তাৎক্ষণিক ব্যয়ের জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে Basic Research Fund. এর আওতায় একজন অধ্যাপক সর্বোচ্চ তিন লক্ষ, একজন সহযোগী অধ্যাপক সর্বোচ্চ দুই লক্ষ এবং একজন সহকারী অধ্যাপক সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।
  • ফেলোশিপের বাইরে অন্যান্য মেধাবী গবেষকদের জন্য চালু করা হয়েছে Teaching Assistantship (TA). সবগুলো বিভাগ মিলে মোট ১৩২টি TA দেয়া হয়েছে। এই TA দের বেতন হবে গ্রেড৯ এর মূল বেতনের সমান অর্থাৎ প্রায় ২২ হাজার টাকা। এর ফলে গবেষকরা অন ক্যাম্পাস জবের পাশাপাশি নিজের গবেষণা কাজেও অধিকতর মনোনিবেশ করাটাই স্বাভাবিক। আর ভালো গবেষণা মানেই ভালো মানের পাবলিকেশন।
  • এছাড়াও বুয়েটের নিজস্ব তহবিল থেকে RISE কে দেয়া হয়েছে দুই কোটি টাকার Internal Research Grant. এর ফলে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকার গবেষণা প্রস্তাব RISE এর মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে অর্থায়ন করা সম্ভব হচ্ছে।
  • ৫) International Research Network (IRN) সুচকটি এবারই প্রথম চালু করেছে QS. এই সূচকে বুয়েটের বর্তমান স্কোর ৩৬। RISE প্রতিষ্ঠিত হবার পর সীমিত জনবল নিয়েও এই অল্প সময়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক গবেষণা চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে মোট ১০টি। এছাড়াও বুয়েটের কিছু ইন্সটিটিউটের মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে গবেষণামূলক কাজ চলছে। এসবের প্রতিফলনই দেখা যাচ্ছে এই সূচকের বর্তমান স্কোরে। স্পষ্টতই এই সূচকটিকে সামনে রেখে বুয়েটের আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
    শেষ কথা, বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং চিরস্থায়ী কিছু নয়। এটি অর্জনের চেয়ে ধরে রাখা অনেক কঠিন। বর্তমান স্কোর ও অবস্থান আপেক্ষিক। বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বসে নেই, থাকবে না। তাই আত্মপ্রসাদের ঢেকুর তুলে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই। সবগুলো সুচকে নিজেদের অবস্থান আরো উন্নত করার জন্য প্রয়োজন নিবেদিত ও সৃজনশীল প্রশাসন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধারাবাহিক আন্তরিকতা, দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে উদার বাজেট বরাদ্দ এবং সর্বোপরি সরকারের সকল মন্ত্রণালয়ের নিঃশর্ত সহযোগিতা।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, বুয়েট এগিয়ে যাক।”

– আব্দুল জব্বার খান স্যার

মাননীয় উপ-উপাচার্য, বুয়েট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version