বর্তমানে স্টুডেন্টদের মাঝে সিএসই এর প্রতি আগ্রহ থাকার কারণ কি
সিএসই-তে চাকরীর সেক্টরগুলো কি কি
❒ যদিও সিএসই পছন্দ করার কারনটা হওয়া উচিত “মডার্ণ কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটিং টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে তা জানার প্রতি আগ্রহ”, দেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এই কারনটি হলো “কেউ একজন তাকে বলেছে সিএসই-ই ভবিষ্যত”।
সবাই যেমন গণিতবিদ হতে পারেনা, তেমনি যে কেউই কম্পিউটার সায়েন্সে ভালো করতে পারেবেনা। এর জন্য প্রয়োজন এই ফিল্ডের প্রতি প্রচুর কৌতুহলোদ্দীপনা, নিজে নিজে গবেষণা করে বিভিন্ন খুটিনাটি শেখার প্রবণতা।
সিএসই পড়তে আগ্রহী এমন অনেকে এটাও জানেনা যে সিএসই তে গণিত পড়ানো হয়। তারা ভাবে শুধু কম্পিউটারের কি-বোর্ড চেপেই ৪ বছর কেটে যাবে। ভর্তি হয়ে যখন তারা তাত্ত্বিক এবং গাণিতিক কোর্সগুলোর মুখোমুখি হয়, তখনই তাদের ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়। শেষমেষ দেখা যায় প্রচুর শিক্ষার্থী কোন প্র্যাকটিক্যাল স্কিল অর্জন না করেই গ্র্যাজুয়েট করে।
চাকুরীর বাজারে তাই সিএসই শিক্ষার্থীদের কিছুটা হলেও বৈষম্যের মুখোমুখী হতে হয়। শুধু সিএসই গ্র্যাজুয়েট হয়ে ইন্টারভিউ দেয়ার ইনভাইটেশন পাওয়া দুষ্কর, সবাই সিভি তে প্র্যাকটিক্যাল কাজের উদাহরণ দেখতে চায়।
এক কথায় বলতে গেলে, বর্তমান চাকরীর বাজারে generic সিএসই গ্র্যাজুয়েটের সাপ্লাই, এর ডিমান্ড থেকে বেশি। কিন্তু skilled গ্র্যাজুয়েটের সাপ্লাই একদমই কম, অনেক বড় বড় কোম্পানিতে প্রচুর পদ খালি পড়ে থাকে উপযুক্ত লোক না থাকায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও একই অবস্থা।
আপনার প্রশ্নের শেষাংশের উত্তর সীমাহীন। সিএসই খুবই জেনারেল একটি ক্ষেত্র, এর প্রচুর উপশাখা আছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডেভেলপার থেকে শুরু করে সিস্টেম অ্যাডমিন বা নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, সবই হওয়া সম্ভব সিএসই থেকে। সাধারনত কোর্সের প্রথম দুই বছরেই আপনার নির্দিষ্ট করে নেয়া উচিত আপনি ঠিক কোন উপশাখায় ক্যারিয়ার গড়তে চান। সবদিকে ভালো করার চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, লক্ষ্য নির্ধারণ করে স্পেসিফিকভাবে ঐ বিষয়ে বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করে এক্সপার্ট হতে হবে। তাহলেই “সিএসই ভবিষ্যত, এখানে চাকরীর অভাব নেই” কথাটি আপনার জন্য সত্য হবে।
© Shakil Ahmmed
Let everyone know by sharing.
Page Link – bdengineer.com
Page Link- Engineers Job in Bangladesh